টিকাদান শিশু স্বাস্থ্যসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং প্রতিটি শিশুকে বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল টিকা প্রদান করা অপরিহার্য। বাংলাদেশ টিকাদানে একটি অসামান্য সাফল্যের হার অর্জন করেছে, যেখানে শহর ও গ্রামীণ উভয় এলাকার প্রায় ৯৫% শিশু টিকা পাচ্ছে। তা সত্ত্বেও, এখনও কিছু শিশু আছে যারা আদৌ কোনো টিকা পায়নি, যাদেরকে ‘শূণ্য-ডোজ’ শিশু বলা হয়। এই নিবন্ধটি বাংলাদেশে শূন্য ডোজ শিশু হওয়ার কারণ ও প্রভাবগুলি অন্বেষণ এবং বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা দেশে শূন্য ডোজ শিশুদের সংখ্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
শিশুদের শূন্য ডোজ হওয়ার পিছনে মূল কারণগুলো হল দারিদ্র্য এবং টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব। যেসব শিশু টিকা পায় না তারা হেপাটাইটিস, যক্ষ্মা, হুপিং কাশি এবং ডিপথেরিয়া সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে থাকে [১]। যা তাদের স্বাস্থ্য, আয়ু, পরিবারের সদস্য, আর্থিক পরিস্থিতি এবং সম্প্রদায়ের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সমস্যাটি মোকাবেলা করার জন্য, “গ্যাভি, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স” শূন্য ডোজ শিশুদের সংখ্যা কমানোর জন্য নির্দেশিকা প্রদান করেছে। যার মধ্যে রয়েছে শূন্য ডোজ শিশু সনাক্ত করা, তাদের কাছে পৌঁছানো, তাদের টিকা দেওয়া এবং তাদের উপর বিশেষ নজর রাখা। সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী (ইপিআই) বাংলাদেশে জিরো ডোজ শিশুদের সংখ্যা কমাতে এই নির্দেশিকাগুলি গ্রহণ করতে পারে। বাংলাদেশের লক্ষ্য অবশ্যই শূন্য ডোজ শিশুদের সংখ্যা হ্রাস করা এবং যত দ্রুত সম্ভব সকল শিশুর মধ্যে ১০০% টিকা দেওয়ার হার অর্জন করা।
জিরো-ডোজ শিশুদের সমস্যাটি সরকার, এনজিও এবং বেসরকারী খাত সহ সমস্ত প্রাসঙ্গিক অংশীদারদের দ্বারা সমাধান করা উচিত। সকল শিশুকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাভি’র নির্দেশিকাগুলো বাংলাদেশের জন্য একটি প্রারম্ভিক সুবিধা প্রদান করতে পারে এবং সেগুলো অনুসরণ করে ‘ইপিআই’ শূন্য ডোজ শিশুদের সংখ্যা কমাতে পারে। জিরো ডোজ শিশুদের শনাক্ত করে, তাদের কাছে পৌঁছানো, তাদের টিকা দেওয়া এবং তাদের খোঁজখবর রাখার মাধ্যমে, বাংলাদেশ সব শিশুর মধ্যে ১০০% টিকা দেওয়ার হার নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
তথ্যসূত্র